গোটৰ বিশদ বিৱৰণ
ত্রিপুরা     পশ্চিম ত্রিপুরা     রাণীর বাজার


একটি দল বা গুচ্ছ  নিরূপিত হয় ভৌগলিক সমাবেশ বা কেন্দ্রীকরণ হিসাবে(একটি মহানগরী/ শহর / কিছু সংলগ্ন গ্রামসমূহ এবং তাদের সন্নিহিত অঞ্চলসমূহ) যা কাছাকাছি একই ধরণের  উপাদানের দ্রব্য উৎপন্ন করছেন এবং মুখোমুখি হচ্ছেন যৌথ সুযোগ সুবিধার ও আশঙ্কার। একটি কারুশিল্পী দল নিরূপিত হয় ভৌগলিক দিক থেকে কেন্দ্রীভূত (প্রধানত গ্রামগুলিতে/ছোট শহরগুলিতে) পরিবার পরিজনের দল যারা হস্তশিল্পের / হস্ত চালিত তাঁতের উৎপাদিত দ্রব্য সমূহ উৎপাদন করছেন। একটি বৈশিষ্ট্য সূচক দলে এইরকম উৎপাদকরা প্রায়ই ঐতিহ্যবাহী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভূক্ত হন, যাহারা বংশানুক্রমে স্বীকৃত দ্রব্য উৎপাদন করছেন। বস্তুত, অনেক কারুশিল্পী দল হলেন শতাধিক বছরের পুরনো কারুশিল্পী

 

রাণীর বাজার  গোষ্ঠী সম্পর্কে :-

 

ত্রিপুরা রাজ্যের পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার মধ্যে রাণীর বাজার     গোষ্ঠী পড়ে।

 

রাণীর বাজার গোষ্ঠী 300 এর বেশী  সুদক্ষ কারিগর গঠন করতে সক্ষম হয়েছে এবং 16 টি স্বয়ম্ভর গোষ্ঠী এই শক্তিশালী কর্মশক্তিকে সহযোগিতা করছে। দিনে দিনে চলনশীলতার গতিবেগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। 

 

ঘাস পাতা, খাগড়া, তন্তু :- 

 

তাল গাছের বিভিন্ন অংশ থেকে তৈরী হওয়া অনেক দ্রব্য দেখতে পাওয়া যায় তামিলনাড়ুর উত্তর এবং দক্ষিণ আর্কটে, সালেমে, তিরুচিরাপল্লীতে এবং তাঞ্জাভোরে যার মধ্যে আছে তাল গাছের তন্তু ও পাতা এবং খেজুর গাছের কান্ড ধেকে প্রাপ্ত মাদুর থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন আকার ও আকৃতির ঝুড়ি। নরম তাল গাছের পাতাগুলো পটি বা ফালির থেকে আলাদা করা হয় এবং একসঙ্গে জোড়া লাগানো হয় তাদের উপর দিয়ে একটা ফালিকে বাহিত করে এবং পেঁচিয়ে যেটা তারপর একটা ফিতের মত ভাঁজ করা হয় এবং পাতার পাতলা ফালি দিয়ে বাঁধা হয় কিছু অন্তরে অন্তরে অবস্থিত স্তরকে সংযোগ করতে, এইভাবে আরামদায়ক রঙে এবং সূক্ষ্ম বয়ন বিন্যাসে  সমরূপে এবং ছন্দিত নকশায় নিম্নলিখিত অন্তর্ভূক্ত দ্রব্য যেমন - সুটকেস, বাক্স, ব্যাগ, ঝুড়ি, পর্দা, চিক, মাদুর, কাঁচের ধারক, দানি, টুপি, সুন্দর চালনি, হাত পাখা, বর্গাকৃতি মাদুর এবং অলংকারের বাক্স উৎপাদিত হয়।

 

পাতার শিরা অপসারিত করা নরম তাল গাছের পাতা থেকে উৎপাদিত দ্রব্যগুলিকে তারপর রোদে শুকান হয় যার মধ্যে অন্তর্ভূক্ত ব্যাগ, রাতের আহারের আধার এবং হাতে ধরা ভাঁজ করা 37 থেকে 56 ফলার শোভাবর্ধক পাখা। এই ফলাগুলোর উপরে অবস্থিত ছিদ্রের মাধ্যমে প্রবেশ করান তামার তারের সাহায্যে এই ফলাগুলোকে একসঙ্গে বাঁধা হয় এবং তারপর একসঙ্গে সেলাই করা হয় যাতে পাখার মত ছড়াতে পারে। ফলার উপরে ফুলদার শিল্পকলার বৈশিষ্ট্য অঙ্কন করে পাখাগুলিকে দৃশ্যত আকর্ষনীয় করা হয়। দক্ষিণ কেরালাতে তাল পাতা এবং তাল বৃন্ত বুনন খুব সমৃদ্ধজনক শিল্প কৌশল যার মধ্যে আছে ব্যাগ, টুপি, সুটকেস যেগুলো প্রস্তুত করা হয় আজকের দিনের ভারতীয় এবং আন্তর্জাতিক বাজারের জন্য। খাগড়া একটা বাঁশের মত দেখতে ফাঁপালো কান্ড সমেত শক্ত ডাঁটা যুক্ত ঘাস। এটা খুব মজবুত পদার্থ এবং খাগড়ার মাদুর যেকোন কাঠামোর এবং ছাদের দেওয়াল হিসাবে ব্যবহৃত হয়। খাগড়াগুলোকে প্রথমে ছাড়ানো হয় এবং আড়াআড়ি রেখা বা শিরাতোলা বুননের মত বুনন করে মাদুর করার আগে চাঁছা হয়। একটা কোণার থেকে শুরু করে সেগুলোকে তৈরী করা হয় এবং কোনা-কুনি ভাবে বোনা হয় বা বিনুনী করা হয়। লম্বা ফালিগুলোকে মধ্যেখানে ভাঁজ করা হয় এবং অন্য একটা ফালি আড়াআড়ি ভাবে ঢুকানো হয়, যেটা পরবর্তীকালে ভাঁজ করা হয় এবং পরবর্তী ফালি পুনরায় আড়াআড়ি ভাবে ঢুকান হয় এবং প্রভৃতি এইরকম আরও। আড়াআড়ি ভাবে ফালিগুলোর ভাঁজ মাদুরের প্রান্তসীমা গঠন করে। খুব শক্ত সবল ঝুড়ি তৈরীর জন্য খাগড়া ব্যবহৃত হয়।     

 

কাঁচামাল:-

 

ত্রিপুরার গ্রামগুলি তাল গাছ, নারকেল, খেজুর এবং ভারতীয় ও সিংহলী তাল গাছে ভর্ত্তি। ঝুড়ি এবং আনুষাঙ্গিক পদার্থ তৈরীর জন্য তাল হচ্ছে প্রধান কাঁচা মালের উৎস। অন্যান্য কাঁচামাল যেমন বাঁশ, বেত, বিভিন্ন ধরণের ঘাস, তন্তু, এবং খাগড়াও ব্যবহৃত হয় ঝুড়ি, চালাঘড়, দড়ি, মাদুর এবং অন্যান্য আরও জিনিষ।

 

কৌশল এবং যন্ত্রপাতি :-

 

পাটের আঁশ পাওয়া যায় পাট গাছের কান্ড থেকে এবং  বাইরের দিকে যে ফিতার মত ছাল থাকে সেখান থেকে। জলে ভিজিয়ে পাট পচিয়ে প্রথমে আঁশ বের করা হয়। পাট পচান পদ্ধতি হল, পাট গাছের কান্ডগুলি একসঙ্গে বেঁধে গোছা করে অল্প এবং প্রবাহিত জলে ডুবান হয়। পাট পচানো দুই ধরনের :  কান্ড ও ফিতা। পচানোর পরে ছাড়ানো আরম্ভ হয়। মহিলারা এবং বাচ্চারা সাধারণত: এই কাজ করে। ছাড়ানো পদ্ধতিতে , আঁশ নয় এমন অবাঞ্ছিত জিনিসগুলি বাদ দিয়ে দেওয়া হয়, তারপর অন্যান্য লোকেরা জলে নেমে পড়ে কান্ডগুলিকে আঁকড়ে ধরে এবং  ঐ কান্ডগুলি থেকে আঁশ ছাড়িয়ে নেয়।

 

 

কায়দা করা ব্যাগ ও বিক্রয়ের জন্য সাহায্যপ্রাপ্ত দ্রব্য তৈরী করার জন্য পাটের থলি ব্যবহার করা হয়। পাটের পরিবেশ সহায়ক ধর্মের জন্য যৌথ উপহার দানের ক্ষেত্রে আদর্শ।

 

বয়ন এবং গুচ্ছ করা এবং গাদা করা গালিচা পাটের তৈরী মেঝের আচ্ছাদনে উপাদান হিসাবে থাকে। ভারতবর্ষের দক্ষিণ প্রান্তে 5 - 6 মিটার চওড়া এবং অনবচ্ছিন্ন লম্বায় পাটের মাদুর এবং চাটাই বা দরমা খুব সহজেই বোনা হয়, যেগুলি ঘন এবং শৌখিন রং এ এবং বিভিন্ন বুনন পদ্ধতিতে যেমন -অসম গাঁট সমেত অসম সুতো দিয়ে তৈরী, পানামা এবং হেরিংবোন ইত্যাদি। ভারতবর্ষের কেরালা হইতে বিপুল পরিমাণে  পাটের মাদুর এবং কম্বল তৈরী করা হয় হস্ত চালিত এবং শক্তি চালিত উভয় তাঁত এর মাধ্যমে। চিরাচরিত সতরঞ্চি মাদুর গৃহ অলংকরণের জন্য ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা লাভ করছে। বুনন অযোগ্য পাট এবং যৌগিক, তলাচি, মেঝে ঢাকার জন্য মসিনা বা তিসির তেলের প্রলেপযুক্ত একপ্রকার শক্ত কাপড় দিয়ে তৈরী আঁকার জন্য তল এবং আরও অনেক কিছু ব্যবহার করা হয়।

 

গৃহে ব্যবহারযোগ্য কাপড় চোপর এর জন্য পাটের অনেক উপকারীতা আছে, হয় সুতি কাপড়কে বদলে অথবা এর সঙ্গে মিশিয়ে। এটা খুব শক্ত, টেকসই,বর্ণের এবং হালকা -গভীর আঁশ যুক্ত হয় । এর অতি বেগুনী সংরক্ষণ, শব্দ এবং তাপ অন্তরণ, নিচু তাপঘটিত পরিবহণ এবং বিপরীত ধর্মী স্থিতিশীলতা গৃহ অলংকরণের জন্য অভিজ্ঞ পছন্দ তৈরী করেছে। আরও, পাটের আঁশ এর তৈরী জামা কাপড় কার্বন ডাই অক্সাইড নিরপেক্ষ এবং প্রাকৃতিক ভাবে ক্ষয় প্রাপ্ত হওয়ার যোগ্য। এই সমস্ত বিশেষ লক্ষণগুলির জন্যই উচ্চ কার্য সম্পাদন প্রযুক্তিগত বস্ত্র হিসাবে পাটকে ব্যবহার করা যেতে পারে। অধিকন্তু, পাটকে 4 - 6 মাসের মধ্যে বড়ো করা যেতে পারে প্রচুর পরিমানে কাষ্ঠতন্তু সহযোগে যেটা পাটের কান্ড বা পাটকাঠি থেকে উৎপাদিত হয় এবং পৃথিবীর কাঠের চাহিদার বেশিরভাগটাই মেটাতে পারে। অন্যান্যদের মধ্যে পাট হচ্ছে অধিক গুরুত্বপূর্ণ ফসল যেটা শিল্পায়নের দ্বারা অরণ্যবিনাশ কে সুরক্ষা দিতে সক্ষম।

 

সুতরাং, পাট হচ্ছে সবথেকে বেশী পরিবেশ সহায়ক আঁশ , বীজ থেকে আরম্ভ করে মৃত তন্তু, কারণ মৃত তন্তু একাধিকবার পুনর্ব্যবহারের জন্য প্রক্রিয়াজাত করা যাইতে পারে। 

 

 

বোনার জন্য বাঁশের প্রক্রিয়াকরণ :-

 

ব্যবহারিক ক্রম হল কৌশল আধুনিকিকরণের উপস্থাপনা এবং দক্ষতার উন্নতি করা এবং কর্মচারীদের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করতে সক্ষম করে তোলা যাতে তাকে সক্ষম করে তোলা যায় তার জীবনের মৌলিক প্রয়োজনগুলি মেটাতে এবং একটা যুক্তিসম্মত সময়ে সে যাতে দারিদ্রের কবল থেকে বেরিয়ে আসতে পারে।

 

কি ভাবে পৌঁছাবেন :-

 

রাজ্যের প্রধান বিমানবন্দর অবস্থিত আগরতলায় - রাজ্যের রাজধানী। অনেক সরকারি ও ব্যক্তিগত বিমান পরিবহণ ব্যবস্থা নিয়মিত ভাবে আগরতলাতে ও আগরতলা হইতে উড়ান পরিচালনা করেন। কোলকাতা এবং গৌহাটি হইতে বিমানযোগে আগরতলা পৌঁছাতে ৪৫ মিনিটেরও কম সময় লাগে। এই রাজ্যে আরও ৩টি বিমানবন্দর আছে যেমন - খোয়াই, কামালপুর এবং কৈলাশাহার যেখানে ছোট ভাড়া করা বিমান খুব সহজে অবতরণ করতে পারে।

 




ৰূপায়ণ কৰা এজেঞ্চীৰ বিশদ বিৱৰণ



ত্রিপুরা     পশ্চিম ত্রিপুরা     মহিলা উন্নয়ন সমিতি