বেস্ট বেঙ্গল     মালদা     হাবিল পুর


একটি দল বা গুচ্ছ নিরূপিত হয় ভৌগলিক সমাবেশ বা কেন্দ্রীকরণ হিসাবে(একটি মহানগরী/ শহর / কিছু সংলগ্ন গ্রামসমূহ এবং তাদের সন্নিহিত অঞ্চলসমূহ) যা কাছাকাছি একই ধরণের উপাদানের দ্রব্য উৎপন্ন করছেন এবং মুখোমুখি হচ্ছেন যৌথ সুযোগ সুবিধার ও আশঙ্কার। একটি কারুশিল্পী দল নিরূপিত হয় ভৌগলিক দিক থেকে কেন্দ্রীভূত (প্রধানত গ্রামগুলিতে/ছোট শহরগুলিতে) পরিবার পরিজনের দল যারা হস্তশিল্পের / হস্ত চালিত তাঁতের উৎপাদিত দ্রব্য সমূহ উৎপাদন করছেন। একটি বৈশিষ্ট্য সূচক দলে এইরকম উৎপাদকরা প্রায়ই ঐতিহ্যবাহী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভূক্ত হন, যাহারা বংশানুক্রমে স্বীকৃত দ্রব্য উৎপাদন করছেন। বস্তুত, অনেক কারুশিল্পী দল হলেন শতাধিক বছরের পুরনো কারুশিল্পী।

হাবিল পুর  গোষ্ঠী সম্বন্ধে :-

হাবিল পুর  বঙ্গ রাজ্যের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতে সবং গোষ্ঠী পড়ে।

গজলে গোষ্ঠী 500 এর বেশী কারিগর গঠন করতে সক্ষম হয়েছে এবং 25 টি সয়ন্ভর গোষ্ঠী মজবুত কর্মচারীর দলকে সহায়তা দিচ্ছেন। চলন শক্তির গতিবেগ ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বেত ও বাঁশ:-

বেত ও বাঁশ এই দুইটি পশ্চিম বাঙলায় খুব প্রচলিত ভাবে ব্যাবহৃত পদার্থ। গৃহস্থ ব্যাবহার্য দ্রব্যের ব্যাপ্তি থেকে শুরু করে বাসস্থান নির্মানে, বোনার আনুষাঙ্গিকে, সাঙ্গীতিক যন্ত্রপাতি বাঁশ দিয়ে তৈরী হয়। এই শিল্পকর্মে কোন যান্ত্রিক কৌশল ব্যাবহৃত হয় না, এটা মুখ্যত গৃহস্থ শিল্প। ঝুড়ি বোনা ছাড়াও মুখ্যত গৃহ নির্মাণের কাজে এবং বেড়া দেবার জন্য বাঁশ ব্যবহৃত হয়। এই শিল্পকর্ম চিরাচরিত ভাবে পড়তির মাস গুলিতে চাষীদের কাছে ঠিকা সময়ের কর্ম সংস্থান করে, যদিও বর্দ্ধিত হারে, ব্যাবসায়িক কর্মকাম্ডে চুক্তিবদ্ধভাবে নিয়োগিত পুরো সময়ের কারুশিল্পী এখন পাওয়া যাইতে পারে।

পশ্চিমবঙ্গের সর্বত্র বাঁশ এর তৈরী উৎপাদিত দ্রব্য লক্ষণীয়। অসংখ্য ধরণের ও আকারের বাঁশের ঝুড়ি পাওয়া যায়, তাদেরকে যেখানে রাখা হয় সেখানকার ব্যাবহারের সঙ্গে পরিবর্তণীয়। বাড়ীর পুরুষ সদস্যরা সাধারণত: বাঁশের ঝুড়ি বোনেন। প্রতিটা জেলায় তাদের নিজস্ব স্বাতন্ত্রসূচক রচনাশৈলী আছে। সাধারণভাবে, কোনাকৃতি ঝুড়ি বহন করবার জন্য ব্যবহৃত হয়এবং বর্গাকৃতি বা গোলাকার তলযুক্ত ঝুড়ি জিনিষ সংগ্রহ করে রাখার জন্য ব্যবহৃত হয়। একটা উদাহরণ হচ্ছে শিলচর থেকে পশ্চিম বাঙলা বাঁশের ঝুড়ি। এর বর্গাকৃতি নিম্নদেশ আছে অর্থ্যাৎ ভিতরের দিকে ঢাকা দেওয়া যাতে বর্গাকারের কোণাগুলো ভার বহণ করার কাজ করে এবং এর একটা চওড়া মুখ আছে। এটা সুপারী রাখার জন্য ব্যাবহার করা হয়। একটা ছাঁচের সাহায্যে বোরো বাঁশের ঝুড়ি তৈয়ারী করা হয়, এটা ব্যবহার করা হয় যাতে একটা গলা এবং মুখের আকার পাওয়া যায়। গলা থেকে নিম্নদেশ পর্য্যন্ত ব্রাউন কাগজের মোচাকার বস্তু তৈরী করা হয় এবং ঝুড়িতে রাখা হয় যাতে এর সরু প্রান্তটা নিম্নদেশ ছোঁয়। এর ভিতরে বালি ভর্তি করা হয় যাতে মোচাকার বস্তুর আকার ঠিক থাকে এবং মোচাকার বস্তুর আকার অনুযায়ী বোনা অনুসরণ করে।

জাপি, চিরাচরিত সূর্যের প্রচ্ছায় সব থেকে বেশী পরিচিত বাঁশের পদ হিসাবে বহাল আছে। যখন চীনা পর্যটক হিউয়েন সাং আসামে এসেছিলেন সেই সময় থেকে এটা ব্যবহৃত হচ্ছে। রঙীন শোভাবর্ধক নকশা এবং শিল্পকর্মের বৈশিষ্ট্য দিয়ে তৈরী করা জাপি দিয়ে পরিদর্শকদের অভ্যর্থনা করা হত।

পুতুল এবং খেলনাও তৈরী করা হত বেত ও বাঁশ দিয়ে। প্রাণী এবং মানুষের আকৃতি ব্যাতিরেকেও, পাখী মারার খেলনা বন্দুক এবং সাঙ্গীতিক যন্ত্রপাতিও কারুকর্ম করা হত। বাঁশের তৈরী ছাতার হাতল হচ্ছে বিশেষত্ব এবং এগুলোর উপর পাতার, লতাপাতা, পতঙ্গ, গাছপালা, ইত্যাদির সূঁচ এবং অ্যাসিড সহযোগে ছবি আঁকা হত। একটা বিশেষ ধরণের বাঁশ মূলি বাঁশ বলে পরিচিত হাতল করার জন্য ব্যাবহার করা হত।

কাঁচামাল:-

কাঁচামালে সমৃদ্ধ পশ্চিম বাঙলায় অনেক ভিন্ন ধরণের সুন্দর দ্রব্য আছে। পাহাড়ের মানুষের ও সমতল ভূমির মানুষের প্রত্যেকের তাদের নিজস্ব ভঙ্গি ও পরিকল্পনা আছে। ঝুড়ি বানানো ব্যাতিরেকে, বেত ও বাঁশও আসবাবপত্র সামগ্রীতে মোড় নিয়েছে, তুলনামূলকভাবে অনেক বেশী আধুনিক নূতন রীতি। বেত ও বাঁশের তৈরী জিনিষপত্র মানুষের সৃষ্ট পুরাতনতম সামগ্রীর মধ্যে একটা, ঘাসের সঙ্গে ঘাসের জোড় লাগিয়ে করা হয় এবং পরস্পর বিজড়িত পাতায় খুব কম যন্ত্রপাতি লাগিয়েকরা হয়। ধর্মীয় আচার আচরণের জন্য এটাকে পবিত্র বা পরিস্কার মনে করা হয়। আসামের সুদক্ষ কর্মকুশলতার সূক্ষ্মতম উদাহরণের মধ্যে একটা হল বেতের কাজ। কাঁচামাল প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় এখানকার সতেজ বনভূমিতে, এর শক্তি এবং পুষ্টিকর উপাদান এখানকার শিল্পকে সরবরাহ করে। পশ্চিম বাঙলার প্রতিটা জেলাই বেতের জিনিষে সমৃদ্ধ। স্বাধীন উদ্যোগীরা উন্নয়নের জন্য এবং রপ্তানীকে উন্নত করতে নূতন বাজারের সম্ভাব্যতা পরীক্ষা করে দেখেছেন বেতকে ব্যবহার করে সমসাময়িক অনেক শিল্প কৌশল তৈরী করার জন্য।

প্রক্রিয়া :-

বেত ও বাঁশের সমগ্র কান্ডটিকে লোহা কাটার করাত দিয়ে কাটা হয় এবং লম্বালম্বিভাবে আলাদা করে অনকে আকার ও আকৃতির করা হয় লম্বা হাতলওয়ালা বেঁকানো ব্লেডের করাত দিয়ে। বেত কম বা নরম আঁচে গরম করা হয়, সাধারণত: একটা কেরোসিনের বাতি দিয়ে নমনীয়তার জন্য। সামগ্রী গুলো তৈরী করা যেতে পারে দুটি ভিন্ন ধরণের আকারে: ঝুড়ির জন্য কুন্ডলী পাকানো ; এবং মাদুরের জন্য বোনা। কুন্ডলী পাকানো ঝুড়ি বানানোতে, ঝুড়ির ভিত তৈরী করা হয় প্রথমে একটি কেন্দ্রীয় অন্ত:স্থল এর চারিদিকে একটি বেতকে কুন্ডলী পাকানো হয়। এটা প্যেঁচিয়ে প্যেঁচিয়ে গঠন করা হয় এবং আস্তে আস্তে প্রশস্ততা বাড়ানো হয় যতক্ষন পর্য্যন্ত না ইচ্ছানুযায়ী উচ্চতা পাওয়া যাচ্ছে। কুন্ডলীগুলি একসঙ্গে জোড়া লাগানো হয় ফালি বা পটি গুলিকে সেলাই করে যেটাকে আবার দুইভাবে সংযোজন করা যায়: প্রতিটা সেলাই ভিত্তি কুন্ডলীর নূতন অংশকে অতিক্রম করেছে এমন। আট সংখ্যার আকার তৈরী করা হয় অর্থ্যাৎ সেলাই অতিক্রম করে আগের কুন্ডলীর পিছনের দিকে, উপরের দিকে, উপর দিয়ে এবং নীচ দিয়ে এবং নূতন কুন্ডলীর ঠিক উপর দিয়ে। এইভাবে কুন্ডলী উপাদান ফালির সাথে বোনা হয় এবং আস্তে আস্তে ঝুড়ি তৈরী হয়। ঝুড়ির অলংকরণ কারুকার্যময় ফিতা দিয়ে, কাগজ দিয়ে এবং শঙ্খ বা শামুকের খোল দিয়ে করা যায়।

কারুশিল্পী চাহিদা মত লম্বায় কাটার হাতিয়ার অর্থাৎ ‘দাও’ দিয়ে বাঁশ কে বিভিন্ন আকারে কাটেন। বিভিন্ন ধরণের ছুরির সাহায্যে বাঁশের লম্বা টুকরোগুলোকে পুরু বা মোটা অনুযায়ী কাটা হয়। উপকরণটা এইভাবে সম্পূর্ন হয় কোন বস্তুর কাঠামো তৈরীর বাবহারের জন্য অথবা আসবাবপত্র তৈরীর জন্য যেখানে সরু বেত ব্যবহার করা হয় নকশা ও বাঁধনের জন্য। আসবাবপত্রের বা অন্য গিনিষের জন্য বেতগুলোকে চাহিদামত আকারে বেঁকানো হয় বাতাস প্রবাহিত বাতির দ্বারা গরম করার পদ্ধতিতে। শেষ প্রান্তগুলো জোড় দেওয়া হয় আঠা দিয়ে ও পেরেক দিয়েএবং জোড়মুখগুলো বেঁধে দেওয়া হয় সরু বেতের ফিতে দিয়ে। যে সমস্ত জিনিষ বেত ও বাঁশ দিয়ে তৈরী করা হয় সেগুলোকে পরিস্কার করা হয় শিরিষ কাগজ দিয়ে এবং বার্ণিশ দিয়ে পালিশ করা হয়।

বেত ও বাঁশের সামগ্রীগুলির উৎপাদন এর সঙ্গে জড়িত লোহা কাটার করাত দিয়ে পুরো কান্ডটাকে কেটে ফেলা এবং দাও বা কাটারি অথবা হেঁসো দিয়ে তাদেরকে ফালি ফালি করে বিভিন্ন আকারে লম্বালম্বি ভাবে কেটে টুকরো টুকরো করা। ফালি ফালি করা হয় গাঁটের লম্বা বরাবর লম্বালম্বিভাবে দ্বিখন্ডিত করে এবং যথেষ্ট মোলায়েম ক্রিয়া, আহরণীয় কেবলমাত্র ডাঁটায় প্রয়োজনীয় পরিমানের জলীয় বাষ্প। বেতকে গরম করার জন্য একটি কেরোসিনের বাতি ব্যবহার করা হয় আকার অনুযায়ী বেতকে বাঁকাইতে পারার জন্য।

বেত ও বাঁশের সামগ্রীগুলির উৎপাদন এর সঙ্গে জড়িত লোহা কাটার করাত দিয়ে পুরো কান্ডটাকে কেটে ফেলা এবং দাও বা কাটারি অথবা হেঁসো দিয়ে তাদেরকে ফালি ফালি করে বিভিন্ন আকারে লম্বালম্বি ভাবে কেটে টুকরো টুকরো করা। ফালি ফালি করা হয় গাঁটের লম্বা বরাবর লম্বালম্বিভাবে দ্বিখন্ডিত করে এবং যথেষ্ট মোলায়েম ক্রিয়া, আহরণীয় কেবলমাত্র ডাঁটায় প্রয়োজনীয় পরিমানের জলীয় বাষ্প। বেতকে গরম করার জন্য একটি কেরোসিনের বাতি ব্যবহার করা হয় আকার অনুযায়ী বেতকে বাঁকাইতে পারার জন্য।

কৌশল :-


বেতের উৎপাদিত দ্রব্যের উৎপাদনের জন্য বিভিন্ন ধরণের পর্যায় অতিক্রান্ত করতে হয়, যেটা আরম্ভ হয় বন বা জঙ্গল থেকে কাঁচামাল সংগ্রহ থেকে। মসৃণ তল বা পৃষ্ঠদেশ পাওয়ার জন্য কাঁচা বেতের উপরের স্তরগুলো ছেঁটে ফেলা হয়। বেতের লম্বা ডাঁটিগুলো ছোট ছোট টুকরোতে কেটে ফেলা হয় যেটা অনুসৃত হয় লম্বালম্বিভাবে কেটে পাতলা ফালি পাওয়ার জন্য। এরপরেও বেতকে লম্বালম্বিভাবে কেটে টুকরো করা যেতে পারে, চাহিদামত যত পাতলা সম্ভব তৈরী করার জন্য। বায়ু প্রবাহিত বাতি ব্যবহার করে বেতের টুকরোকে এখন বাঁকান হয় যেটাতে পৃষ্ঠভাগে পোড়ার কারণ ঘটতে পারে; এই পোড়ার দাগ গুলো শিরিষ কাগজ ঘষে তুলে ফেলা হয়। এর পরে, বেত বোনা যেতে পারে এর থেকে অনতিক্রম্য অভিনবত্বের উপকরণের নকশা অনুযায়ী। সমাপনের উদ্দেশ্যে তুলির পোঁচ দেওয়ার পর, উৎপাদিত দ্রব্যকে বাজারে পাঠানোর আগে ভার্ণিশ এর একটা প্রলেপ দেওয়া যেতে পারে।

কি ভাবে পৌঁছাবেন :-

আকাশ পথে :-


কোলকাতার বিমানবন্দর দমদমে অবস্থিত, শহরের কেন্দ্রবিন্দু থেকে প্রায় 17 কিমি উত্তর পূর্বে। বেশীরভাগ অন্তর্দেশীয় বিমান পরিবহণ ব্যবস্থার সরাসরি পরিষেবার ব্যবস্থা আছে কোলকাতাতে ও কোলকাতা হইতে ভারতবষের্র অন্যান্য শহরগুলিতে যেমন দিল্লী, মুম্বাই, চেন্নাই, পাটনা, বারাণসী, লখ্নৌ ইত্যাদি। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বেশীর ভাগ দেশেই কোলকাতা থেকে সরাসরি বিমান পরিবহণ ব্যবস্থা আছে।

সড়ক ব্যবস্থার মাধ্যমে :-

ভারতবর্ষের বেশীরভাগ শহরের সঙ্গেই সড়ক ব্যবস্থার মাধ্যমে কোলকাতা সংযুক্ত। শহরের কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থিত এসপ্ল্যানেড (ধর্মতলা) প্রান্তিক কেন্দ্রই বাস পরিষেবার প্রধান প্রান্তিক কেন্দ্র। ঢাকা – কোলকাতা বাস পরিষেবা শুরুই হল নূতন উন্নয়ন। বাসগুলি বর্ণাঢ্য, শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ও আরামদায়ক।

রেল পথের পথের মাধ্যমে :-


এই শহরে দুটি গুরুত্বপূর্ণ রেল স্টেশন আছে—একটা হাওড়ায় ও অন্য একটা শিয়ালদহতে। দেশের অন্যান্য প্রান্ত হইতে রেল যোগযোগের মাধ্যমে কোলকাতাকে সংযুক্ত করেছে। অত্যন্ত দ্রুতগামী ট্রেন যেমন –রাজধানী এক্সপ্রেস এবং শতাব্দী এক্সপ্রেস এই শহরকে দিল্লীর সঙ্গে এবং কাছাকাছি শহরগুলিকে যেমন বোকারো এবং রাউরকেল্লাকে সংযুক্ত করেছে । করমন্ডল এক্সপ্রেস ও গীতাঞ্জলী এক্সপ্রেস কোলকাতাকে সংযুক্ত করেছে যথাক্রমে চেন্নাই ও মুম্বাই এর সঙ্গে।








বেস্ট বেঙ্গল     মালদা     ভিভেকানান্দ সেবা কেন্দ্র