একটি দল বা গুচ্ছ নিরূপিত হয় ভৌগলিক সমাবেশ বা কেন্দ্রীকরণ হিসাবে(একটি মহানগরী/ শহর / কিছু সংলগ্ন গ্রামসমূহ এবং তাদের সন্নিহিত অঞ্চলসমূহ) যা কাছাকাছি একই ধরণের উপাদানের দ্রব্য উপন্ন করছেন এবং মুখোমুখি হচ্ছেন যৌথ সুযোগ সুবিধার ও আশঙ্কার। একটি কারুশিল্পী দল নিরূপিত হয় ভৌগলিক দিক থেকে কেন্দ্রীভূত (প্রধানত গ্রামগুলিতে/ছোট শহরগুলিতে) পরিবার পরিজনের দল যারা হস্তশিল্পের / হস্ত চালিত তাঁতের উপাদিত দ্রব্য সমূহ উপাদন করছেন। একটি বৈশিষ্ট্য সূচক দলে এইরকম উপাদকরা প্রায়ই ঐতিহ্যবাহী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভূক্ত হন, যাহারা বংশানুক্রমে স্বীকৃত দ্রব্য উপাদন করছেন। বস্তুত, অনেক কারুশিল্পী দল হলেন শতাধিক বছরের পুরনো কারুশিল্পী। শিখরবল্লী গোষ্ঠী সম্বন্ধে :- পশ্চিম বঙ্গ রাজ্যের বারুইপুর জেলাতে শিখরবল্লী গোষ্ঠী পড়ে। শিখরবল্লী গোষ্ঠী 139 এর বেশী কারিগর গঠন করতে সক্ষম হয়েছে এবং 10 টি স্বয়ন্ভর গোষ্ঠী এই শক্তিশালী কর্মশক্তিকে সহায়তা দিচ্ছেন। চলন শক্তির গতিবেগ দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে।মৃশিল্প ও কাদামাটির সামগ্রী :- পশ্চিমবঙ্গ উপাদন করে নানাবিধ বৈচিত্রে টেরাকোটা দ্রব্যসমূহ যেমন- বাতি, মাটির কলসি, ফুলদানি, পাত্র, বাদ্যযন্ত্র, মাটির খেলনা, মানুষের এবং প্রাণীর মূর্ত্তি, হাতলছাড়া পানপাত্র, চিনামাটির পট বা ফলক, বৃহদাকার পদক এবং দেওয়াল ঝোলা। অনুনাসিক সুরের আধার, কারুকার্য করা মাটির কলসি এবং কালো এবং টেরাকোটা রঙের প্রচ্ছায়ায় বাতিদান জনপ্রিয়। বারুইপুর, আসানসোল এ অনেক স্থানান্তরিত কুমোর আছে যারা কয়েক দশক ধরে এখানে বসবাস করছে। স্থানীয়ভাবে এরা কুমোর নামে পরিচিত। যে সমস্ত দ্রব্য তারা সচরাচর তৈরী করে তারমধ্যে বিভিন্ন মাপের ও আকারের পাত্র, খেলনা, টাকার ব্যাঙ্ক, ফুলদানি আছে। বিভিন্ন ধরণের জিনিসের ভান্ডার হিসাবে এইগুলি ব্যবহৃত হয়। হিন্দু দেব দেবীর মূর্ত্তি তৈরী করা হয় এবং বিভিন্ন ধরণের উপকরন দিয়ে সবথেকে সুন্দর প্রচ্ছায়ায় রঙ করা হয়। বারুইপুরের শিল্পীরা কালো এবং ঘণ লাল রঙ দিয়ে মাটির পণাসামগ্রী তৈরী করেন। পণ্য সামগ্রীগুলি মূখ্যত পারিবারিক ব্যবহারের জন্য এবং মনে করা হয় এর ব্যবহার স্বাস্থসম্মত। দই বসানোর জন্য ব্যবহৃত পাত্র খুব বিখ্যাত সামগ্রী। ব্যবহৃত কাদামাটি সাধারণত: দুই থেকে তিন ধরণের কাদামাটির মিশ্রণ যাহা নদীর তলদেশে, মৃত্তিকা গহ্বরে, বা খানা খন্দে পাওয়া যায়। সচরাচর জ্বালানী হিসাবে ব্যবহৃত হয় স্থানীয় উপলব্ধ সম্পদ যেমন গাছপালার ছোট ছোট ডাল, শুকনো পাতা অথবা জ্বালানী কাঠ এর আকারে। মাটির পাত্র পোড়ানো বা শুকানোর জন্য ব্যবহৃত চুল্লি চালানো হয় 700 হইতে 800 ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায়। ভারতবর্ষ খুব সম্পদশালী তার টেরাকোটা এবং মৃশিল্পের ঐতিহ্যে, এরমধ্যে অনেক কিছুরই শিকড় প্রাগঐতিহাসিক যুগেও ছড়িয়ে আছে। মৃশিল্পের সার্বভৌমত্ব ব্যাপক এবং এর ঐতিহ্য পাঁচহাজার বছর ধরে প্রত্যাবৃত্ত। টেরাকোটা মৃশিল্পকে বলা হয়েছে হস্তশিল্পের কবিতা কারণ এর অপ্রতিরোধ্য আকর্ষণের জন্য। বৈচিত্রে ভরা মাটির উপকরণগুলি তৈরী করা হয় যেমন- বাতি, মাটির কলসি, ফুলদানি,পাত্র, বাদ্যযন্ত্র, মোমবাতিদান ইত্যাদি।কাঁচামাল:- মৌলিক উপাদান :- মাটি/ কাদামাটি, সরষের তেল, কুমোরের চাকা, আঠা, মাড়/কলপ, মোম, কাদামাটি, কুমোরের চাকা, গাছের ডালপালা, গাছের শুকনো ডাল, পাতা, জ্বালানী কাঠ, ধানের খড়, লাল কাদামাটি, কালো কাদামাটি, হলুদ মাটি, হলুদ মাটি, বিভিন্ন ধরণের মাটি(কর্দমাক্ত মাটি), ভোজ্য আঠা, মাড়/কলপ,মাটি, মোম। আলংকারিক উপকরণ:-ছাই, বালি, গোবর, ধানের তুস, মাটি, বালি, ফুনানফারি (ভেজা কাপড়), ফুজেই (আঘাত করার জন্য কাঠের খন্ড), কাংখিল, বন্ধ পাত্রের ফলক, লেপশুম (নলাকার মাচা), প্লাস্টিক কাদামাটি, মাটি, সরষের তেল, কুমোরের চাকা, ভোজ্য আঠা, মাড়/কলপ, মাটি, মোম।প্রক্রিয়া:- ব্যবহারের বৈচিত্রের জন্য যে সমস্ত আকার বা আকৃতি প্রয়োজন সেগুলিকে চাকার উপর রাখা হয়। কিছুটা অংশ যেমন মুখনল অথবা হাতল ছেড়ে রাখা হয়। সেগুলোকে আলাদা করে ঢালাই করা হয় এবং তারপর দেহ বা শরীরের সঙ্গে লাগিয়ে দেওয়া হয়। তারপর, সাজসজ্জা করা হয় পৃষ্ঠতলে জ্যামিতিক আদর্শ নকশা খোদাই করার জন্য। কাদামাটি’র সঙ্গে ছাই এবং বালি মেশান হয় ও পা দিয়ে ঠেসা হয় বা দলাই মালাই করা হয়, সংগ্রহ করা হয় এবং লাহাসুর দিয়ে কাটা হয়। তারপর এটাকে পিড়ার উপর হাত দিয়ে ঠাসা হয় এবং একটা মাটির তাল তৈরী করা হয়। শক্ত বা কঠিন যে সমস্ত পদার্থ থাকে সব সরানো হয়। তৈরী হওয়া মাটির তালটি একটি চাকার উপরে রাখা হয় তা থেকে বিভিন্ন ধরনের জিনিস তৈরী করার জন্য। কুমোরের চক্রে ছোট ছোট কাঠের দন্ড থাকে যেটা চক্রের বাইরের বৃত্ত’র সঙ্গে যুক্ত, কাঠ অথবা ধাতুর আবর্তনকীলকের উপর পাক খায় এবং একটা বৃহ চাকার কেন্দ্রস্থল আছে যেটা একটা আবর্তিত টেবিল হিসাবে কাজ করে। বৃত্তাকার প্রান্তের ছিদ্রপথে একটা খাড়া লাঠি ঢোকানো হয়। কুমোর ঠাসা মাটি চক্রের কেন্দ্রস্থলে ছুড়ে দেয় এবং লাঠির সাহায্যে চাকাটিকে চতুর্দিকে ঘোড়ায়। অপকেন্দ্র বলের জন্য মাটির তালটি বাইরের দিকে এবং উপরের দিকে টানতে থাকে এবং ধীরে ধীরে একটা পাত্র বা আধারের রুপ নেয়। একটা সূতোর দিয়ে এটাকে কেটে টেনে নেওয়া হয়, শুকানো হয় এবং কুমোরের চুল্লিতে পোড়ানো হয়। পোড়ানোর পর মাটির জিনিসগুলি টেরাকোটায় পরিণত হয়। মাটির পাত্রগুলি সাধারণ খোলা মাটির গর্তওয়ালা চুল্লি তে পোড়ানো হয় যেটা খুবই কার্যকর এবং কম খরচ সাপেক্ষ 7০০ – 8০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় মাটির পাত্র পোড়ানোর জন্য। পাত্রগুলি সাজান হয় পাত্রের স্তরে স্তরে, একটা পাতার স্তর, গাছের ছোট ছোট ডাল এবং ঘুঁটোও কোন কোন সময় দেওয়া হয়। স্তুপ বা ঢিবি কে ধানের খড়ের মোটা চাদরে ঢাকা হয় যেটা পরবর্তীকালে দো-আঁশ মাটির পাতলা আস্তরণ দিয়ে ঢাকা হয়। আগুন জ্বলতে চার থেকে পাঁচ ঘন্টা সময় লাগে। কাল,লাল এবং হলুদ মাটি ব্যবহার করা হয় টেরাকোটার প্রকরণ বানানোর জন্য, যেগুলো রাজস্থান এবং দিল্লী থেকে ছোট ছোট টুকরোতে সংগ্রহ করা হয়। জিনিসগুলি ভালভাবে মিশানো হয় এবং প্রখর রৌদ্রে শুকানো হয় যাতে যদি কোন প্রকার জলীয় বাষ্প থাকে তাহলে সেটা বাষ্পীভূত হয়ে যাবে। তারপর ভেজা মাটির সংমিশ্রনটি সূক্ষ্ম ছাকনীর মাধ্যমে পরিশ্রুত করা হয় কাঁকড় বা নুড়ি বাদ দেওয়ার জন্য। হাত দিয়ে সঠিক আকার দেওয়ার পর পদগুলি তারপর তাক্ষনিক ভাবে তৈরী করা চুল্লীতে, যেগুলি আচ্ছাদিত করা থাকে ঘুঁটো, জ্বালানী এবং কাঠের গুঁড়ো ইত্যাদি দিয়ে, সেকা হয় । কাদামাটি’র সঙ্গে ছাই এবং বালি মেশান হয় ও পা দিয়ে ঠেসা হয় বা দলাই মালাই করা হয়, সংগ্রহ করা হয় এবং লাহাসুর দিয়ে কাটা হয়। তারপর এটাকে পিড়ার উপর হাত দিয়ে ঠাসা হয় এবং একটা মাটির তাল তৈরী করা হয়। শক্ত বা কঠিন যে সমস্ত পদার্থ থাকে সব সরানো হয়। তৈরী হওয়া মাটির তালটি একটি চাকার উপরে রাখা হয় তা থেকে বিভিন্ন ধরনের জিনিস তৈরী করার জন্য। কুমোরের চক্রে ছোট ছোট কাঠের দন্ড থাকে যেটা চক্রের বাইরের বৃত্ত’র সঙ্গে যুক্ত, কাঠ অথবা ধাতুর আবর্তনকীলকের উপর পাক খায় এবং একটা বৃহ চাকার কেন্দ্রস্থল আছে যেটা একটা আবর্তিত টেবিল হিসাবে কাজ করে। বৃত্তাকার প্রান্তের ছিদ্রপথে একটা খাড়া লাঠি ঢোকানো হয়। কুমোর ঠাসা মাটি চক্রের কেন্দ্রস্থলে ছুড়ে দেয় এবং লাঠির সাহায্যে চাকাটিকে চতুর্দিকে ঘোড়ায়। অপকেন্দ্র বলের জন্য মাটির তালটি বাইরের দিকে এবং উপরের দিকে টানতে থাকে এবং ধীরে ধীরে একটা পাত্র বা আধারের রুপ নেয়। একটা সূতোর দিয়ে এটাকে কেটে টেনে নেওয়া হয়, শুকানো হয় এবং কুমোরের চুল্লিতে পোড়ানো হয়। পোড়ানোর পর মাটির জিনিসগুলি টেরাকোটায় পরিণত হয়।কৌশল :- মহিলা কুমোরেরা হাত দিয়ে অনন্য জিনিস গঠন করার কৃকৌশল অভ্যাস করেন, যেটা চাকা আবিস্কারের পূর্বে অর্থা নব্য প্রস্তরযুগীয় সময়ের কথা সম্ভবত মনে করিয়ে দেয়। যে সমস্ত দ্রব্য তৈরী করা হয় সেগুলি হল সমান তলের পাত্র, জল পরিশ্রুত করার যন্ত্র, ফুলদানি, ধূপ পোড়ানোর তাপক, প্রদীপ , হূঁকা।কি ভাবে পৌঁছাবেন :- আকাশ পথে :- কোলকাতার বিমানবন্দর দমদমে অবস্থিত,শহরের কেন্দ্রবিন্দু থেকে প্রায় 17 কিমি উত্তর পূর্বে। বেশীরভাগ অন্তর্দেশীয় বিমান পরিবহণ ব্যবস্থার সরাসরি পরিষেবার ব্যবস্থা আছে কোলকাতাতে ও কোলকাতা হইতে ভারতবষের্র অন্যান্য শহরগুলিতে যেমন দিল্লী, মুম্বাই, চেন্নাই, পাটনা, বারাণসী, লখ্নৌ ইত্যাদি। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বেশীর ভাগ দেশেই কোলকাতা থেকে সরাসরি বিমান পরিবহণ ব্যবস্থা আছে।সড়ক ব্যবস্থার মাধ্যমে :- ভারতবর্ষের বেশীরভাগ শহরের সঙ্গেই সড়ক ব্যবস্থার মাধ্যমে কোলকাতা সংযুক্ত। শহরের কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থিত এসপ্ল্যানেড (ধর্মতলা) প্রান্তিক কেন্দ্রই বাস পরিষেবার প্রধান প্রান্তিক কেন্দ্র। একটি নূতন উন্নয়ন হল ঢাকা – কোলকাতা বাস পরিষেবা শুরুই । বাসগুলি বর্ণাঢ্য, শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ও আরামদায়ক।.রেল পথের পথের মাধ্যমে :- ভারতবর্ষের বেশীরভাগ শহরের সঙ্গেই সড়ক ব্যবস্থার মাধ্যমে কোলকাতা সংযুক্ত। শহরের কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থিত এসপ্ল্যানেড (ধর্মতলা) প্রান্তিক কেন্দ্রই বাস পরিষেবার প্রধান প্রান্তিক কেন্দ্র। একটি নূতন উন্নয়ন হল ঢাকা – কোলকাতা বাস পরিষেবা শুরুই । বাসগুলি বর্ণাঢ্য, শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ও আরামদায়ক।.