ত্রিপুরা     পশ্চিম ত্রিপুরা     শান্তির বাজার


একটি দল বা গুচ্ছ  নিরূপিত হয় ভৌগলিক সমাবেশ বা কেন্দ্রীকরণ হিসাবে(একটি মহানগরী/ শহর / কিছু সংলগ্ন গ্রামসমূহ এবং তাদের সন্নিহিত অঞ্চলসমূহ) যা কাছাকাছি একই ধরণের  উপাদানের দ্রব্য উৎপন্ন করছেন এবং মুখোমুখি হচ্ছেন যৌথ সুযোগ সুবিধার ও আশঙ্কার। একটি কারুশিল্পী দল নিরূপিত হয় ভৌগলিক দিক থেকে কেন্দ্রীভূত (প্রধানত গ্রামগুলিতে/ছোট শহরগুলিতে) পরিবার পরিজনের দল যারা হস্তশিল্পের / হস্ত চালিত তাঁতের উৎপাদিত দ্রব্য সমূহ উৎপাদন করছেন। একটি বৈশিষ্ট্য সূচক দলে এইরকম উৎপাদকরা প্রায়ই ঐতিহ্যবাহী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভূক্ত হন, যাহারা বংশানুক্রমে স্বীকৃত দ্রব্য উৎপাদন করছেন। বস্তুত, অনেক কারুশিল্পী দল হলেন শতাধিক বছরের পুরনো কারুশিল্পী

 

শান্তির বাজার  গোষ্ঠী সম্পর্কে :-

 

ত্রিপুরা রাজ্যের পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার মধ্যে শান্তির বাজার     গোষ্ঠী পড়ে।

 

শান্তির বাজার গোষ্ঠী 210 এর বেশী  সুদক্ষ কারিগর গঠন করতে সক্ষম হয়েছে এবং 14 টি স্বয়ম্ভর গোষ্ঠী এই শক্তিশালী কর্মশক্তিকে সহযোগিতা করছে। দিনে দিনে চলনশীলতার গতিবেগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। 

 

সূচিশিল্প :-

 

' সূচিশিল্প '  পরিভাষাটি মূলত বর্ণিত হয়েছে একটা কাপড়ের টুকরোকে সূচিকর্ম দিয়ে অলংকরণ করা অথবা শৌখিন বৃত্তান্ত দিয়ে ভূষিত করার পদ্ধতি। সেই হিসাবে সূচি শিল্প বিবেচিত হয় সূঁচ ও সুতো দিয়ে কাপড়কে অলংকৃত করার শিল্পকর্ম। ত্রিপুরার সূচিশিল্প এর খ্যাতি অর্জন করেছে কারণ এর কারুশিল্পী দ্বারা সৃষ্টির বহুমুখীতা। ত্রিপুরার কারুশিল্পীরা ব্যবহার করেন সেলাই এর বিন্যাস যেগুলি ব্যবহৃত হয় পদকে পরিশোভিত করার জন্য। ত্রিপুরার সূচিশিল্প কাজের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলি অবস্থিত ত্রিপুরা অঞ্চলে এবং প্রশংসিত হয় সৃজনশীল উৎকর্ষতার কারণে। রোজগারের বিভিন্ন উৎসের মধ্যে ত্রিপুরার সূচিশিল্প অন্যান্য বিভিন্ন সম্প্রদায়ের জন্য একটা প্রধান উৎস । আজকে, যদিও কাপড়কে অলংকৃত করার সর্বাধিক চিরাচরিত পদ্ধতি হচ্ছে সূচিশিল্প, তথাপি এখন পর্য্যন্ত সেই রকম জনপ্রিয়। কাপড় অলংকরণের নকশা সুদূর অতীতের অন্তর্গত প্রাচীন হতে পারে অথবা আধুনিক কালের আধুনিক জ্যামিতিক নকশা হতে পারে কিন্তু সেই একই সূচিশিল্প কাপড় অলংকরণের সাধারণ ব্যবস্থাগুলির মধ্যে একটা পদ্ধতি হিসাবে এখনো বহাল আছে । আসলে, বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে,  রচনা শৈলীর এবং নূতন প্রবর্তন এর গ্রহণযোগ্যতার স্তরের  জন্য আজকে অনেক অনেক বেশী সুযোগ আছে।

 

এগুলোতে টিকরী এবং পুঁতির অলংকরণ আছে যা তাদেরকে দেখতে আকর্ষনীয় করে তোলে। কাঠের কড়ি দিয়ে তৈরী করা কাঠামোর উপরে রেখে এই ধরণের সূচিশিল্প করা হয়। কাপড়ের উপর নকশার কাজ করা হয় লম্বা সূঁচ, সুতো, টিকরী, পুঁতির সাহায্যে। বহু ধরণের মাপের কাঠামো ব্যবহার করা হয়, সাধারণত প্রায় 1.5 ফুট উচ্চতার, লেখা বা আঁকা যায় এরকম ছিদ্রময় পাতের সাহায্যে যে কাপড়ের উপর কারুকাজ নকশা করা আছে তাকে ধরে রাখার জন্য। একহাত দিয়ে কাপড়ের নীচে সূঁচ এর সঙ্গে সুতোকে ধরে রাখা হয় এবং তখন অন্য হাত দিয়ে খুব সহজে কাপড়ের উপরে সূঁচকে ঘোড়ানো হয়। সূঁচ দিয়ে কারুকার্য করা টিকরী এবং পুঁতি গুলিকে কাপড়ের সঙ্গে আটকানো হয়।

 

সূচি শিল্পের অন্য একটা আদর্শ নমুনা হল জ্যামিতিক অথবা ফুলরে আকৃতিতে জালি অথবা জালের সূচিশিল্প এবং করা হয় কাপড়ের লম্বালম্বি ও আড়াআড়িভাবে স্থাপিত বা বোনা সুতো এবং ভারী বোনার সুতোকে টেনে রেখে এবং সূক্ষ্ম বোতাম ঘর সেলাই দিয়ে আটকিয়ে। সমাপ্ত করা দ্রব্য অবিসংবাদিতভাবে বাড়িতে ব্যবহার করার জন্য দ্রব্য গঠন করে যেমন- পর্দা, বিছানার ঢাকা,আসবাবপত্রের ঢাকা এবং পোশাক পরিচ্ছদ।

 

কাঁচামাল:-

 

কাপড়ের উপর নকশার কাজ করা হয় লম্বা সূঁচ, সুতো, টিকরী, পুঁতির সাহায্যে। বহু ধরণের মাপের কাঠামো ব্যবহার করা হয়, সাধারণত প্রায় 1.5 ফুট উচ্চতার, লেখা বা আঁকা যায় এরকম ছিদ্রময় পাতের সাহায্যে যে কাপড়ের উপর কারুকাজ নকশা করা আছে তাকে ধরে রাখার জন্য। একহাত দিয়ে কাপড়ের নীচে সূঁচ এর সঙ্গে সুতোকে ধরে রাখা হয় এবং তখন অন্য হাত দিয়ে খুব সহজে কাপড়ের উপরে সূঁচকে ঘোরানো হয়।

 

কৌশল এবং যন্ত্রপাতি :-

 

যেহেতু সূচিশিল্প পদ্ধতি মেনে চলার মত সে রকম কোন প্রযুক্তিগত শিল্প -কৌশল নয় কিন্তু তথাপিও ছোট প্রক্রিয়া যেমন :

 

১) শিল্প কর্মের প্রধান বৈশিষ্ট্য তৈরী করা হয় রূপরেখা তৈরী করার পর্দার উপরে প্রতিসম চিহ্নিত করার জন্য এবং সমরূপের জন্য, খাকার মত।

২) সূচিশিল্পের জন্য শিল্প কর্মের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি কাপড়ের উপর চিহ্নিত করা হয় চিহ্নিত করার (তরল) মিশ্রক দিয়ে।

৩) এখন  চিহ্নিত কাপড়টিকে কাঠের কাঠামোর উপর সমস্ত দিক দিয়ে শক্ত করে লাগান (শাড়ী, পোশাক পরিচ্ছদ ইত্যাদি)  (কাঠামো বিহীন ভাবেও এটাকে করা যেতে পারে) ।  

৪) প্রসারণ কমাতে এবং কোঁচকানো বিহীন জিনিষ পেতে কাঠামোর সাহায্যে সূচিশিল্প করতে খুব সহজে কাজ করবে।

৫) বিভিন্ন রকম সেলাই দিয়ে কাঙ্খিত শিল্প কর্মের প্রধান বৈশিষ্ট্য সুন্দর ভাবে সূচিশিল্প করা হয় (পাক্কো, কাছো, সুফ, রাবারি, খারেক ইত্যাদি) কাঙ্খিত শিল্প কর্মের প্রধান বৈশিষ্ট্য অর্জন করতে।

৬) ফলাফল বিভিন্ন রঙ হতে পারে এবং তৈরী করা খুব সহজ।

 

চাহিদামত ছাড় দিয়ে নকশা অনুসারে উৎপাদিত দ্রব্যের জন্য কাঠের কাঠামোর উপর (কাঠমো ছাড়াও এটা করা যায়) কাপড়কে ((শাড়ী, পোশাক পরিচ্ছদ ইত্যাদি) লাগান। শিল্প কর্মের প্রধান বৈশিষ্ট্য তৈরী করা হয় রূপরেখা তৈরী করার পর্দার উপরে প্রতিসম চিহ্নিত করার জন্য এবং সমরূপের জন্য খাকার মত। শিল্প কর্মের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি চিহ্নিত করা হয় চিহ্নিত করার তরল মিশ্রকে (কেরোসিন এবং গালি পাউডার),সূচিশিল্পের জন্য কিনা বিভিন্ন রকম সেলাই দিয়ে কাঙ্খিত শিল্প কর্মের প্রধান বৈশিষ্ট্য সুন্দর ভাবে সূচিশিল্প করা হয় কাঙ্খিত শিল্প কর্মের প্রধান বৈশিষ্ট্য অর্জন করতে।

 

সূচিশিল্পের নকশা তৈরী করা হয় ছোট গোলাকৃতি আয়নার টুকরোগুলোকে উপাদানের সাথে বোতামঘর সেলাই দিয়ে আটকিয়ে, হাত দিয়ে সীমানা চিহ্নিতকারী রেখা গুলিকে বিবৃত করা হয়। সেলাই এর জন্য নরম ও মসৃণ রেশমে তৈরী সুতো ব্যবহৃত হয় এবং সেলাই করা হয় কান্ডে অথবা হেরিংবোন মাছের শিরদাঁড়ার মতো নকশায়, ফাঁকহীন ভাবে কাজ করা হয়। আদর্শ রীতি হিসাবে ফুল এবং লতাপাতা কার হয় ঘণ পটভূমির পরিপ্রেক্ষিতে।

 

বোনার জন্য বাঁশের প্রক্রিয়াকরণ :-

 

কৌশল পরিবর্তিত হয় সম্প্রদায় এবং অঞ্চল ভিত্তিক। সূচিশিল্প পরিভাষাটি মূলত বর্ণিত হয়েছে একটা কাপড়ের টুকরোকে সূচিকর্ম দিয়ে অলংকরণ করা অথবা শৌখিন বৃত্তান্ত দিয়ে ভূষিত করার পদ্ধতি। সেই হিসাবে সূচি শিল্প বিবেচিত হয় সূঁচ ও সুতো দিয়ে কাপড়কে অলংকৃত করার শিল্পকর্ম।এটি হাত এবং মেশিন দ্বারা সুচিশিল্পকে অন্তর্ভূক্ত করে। এবং এখন পর্য্যন্ত, হস্ত সূচিশিল্প ব্যয়সাধ্য এবং সময়সাপেক্ষ পদ্ধতি হিসাবে প্রবহমান। যাইহোক, এতৎসত্ত্বেও এটা অধিকতর পছন্দসই কারন এর সংশ্লিষ্ট হাতের কাজের জটিলতার জন্য।  

 

 

সূচিশিল্পের অলংকারকের ব্যবহৃত মৌলিক পদ্ধতিগুলির মধ্যে অন্তর্ভূক্ত :-

 

১) পরস্পর ছেদী সেলাই

২) চিকণের কাজের জন্য ব্যবহৃত মিহি পশমি সুতোর কাজ

৩) দুই থাক পোষাকের মধ্যে তুলো ভরে সেলাই এর কাজ

 

কি ভাবে পৌঁছাবেন :-

 

রাজ্যের প্রধান বিমানবন্দর অবস্থিত আগরতলায় - রাজ্যের রাজধানী। অনেক সরকারি ও ব্যক্তিগত বিমান পরিবহণ ব্যবস্থা নিয়মিত ভাবে আগরতলাতে ও আগরতলা হইতে উড়ান পরিচালনা করেন। কোলকাতা এবং গৌহাটি হইতে বিমানযোগে আগরতলা পৌঁছাতে ৪৫ মিনিটেরও কম সময় লাগে। এই রাজ্যে আরও ৩টি বিমানবন্দর আছে যেমন - খোয়াই, কামালপুর এবং কৈলাশাহার যেখানে ছোট ভাড়া করা বিমান খুব সহজে অবতরণ করতে পারে।

 








ত্রিপুরা     পশ্চিম ত্রিপুরা     ক্রাফট্স ওয়ার্ল্ড